হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আলীগড়/ হজরত আলী (আ:) এর জন্ম উপলক্ষে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (এএমইউ)-এর মাওলানা আজাদ লাইব্রেরিতে হযরত আলী (আ:) সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ বই ও চিঠিপত্রের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
যার মধ্যে হযরত আলী(আ:) এর বরকতময় হাতে কুফিক শৈলীতে লেখা পবিত্র কুরআনও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (এএমইউ) মাওলানা আজাদ লাইব্রেরি 'আলি সোসাইটি'-এর সহযোগিতায় হজরত আলী(আ:) এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুর্লভ পাণ্ডুলিপি এবং বইয়ের একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল, যার উদ্বোধন করেছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ গুলরেজ, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, এএমইউ।
যা ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত। ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন এবং পুরানো হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি, পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন কপি এবং বিখ্যাত সংগ্রহ নাহজুল-বালাগার ৯০০ বছরের পুরানো কপি সহ বিভিন্ন ভাষায় অন্যান্য দুর্লভ বই সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
হযরত আলী(আ:) এর নাহজুল-বালাগার এই সংস্করণটি উপমহাদেশের প্রাচীনতম সংস্করণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক নিশাত ফাতিমা এবং গ্রন্থাগারের ওরিয়েন্টাল বিভাগের ইনচার্জ ড. টি এস আসগর উপাচার্যকে প্রদর্শনীকৃত পাণ্ডুলিপিগুলোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও একাডেমিক গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করেন।
গ্রন্থাগার দ্বারা প্রদর্শিত বিরল সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে হজরত আলী(আ:) এর প্রশংসায় "কাসিদাহ-ই-হাফিজ", খাত-ই-নাখুনের অদ্ভুত স্টাইলে ধারালো নখ দিয়ে লেখা, নাহজুল-বালাগার বিভিন্ন পুরানো কপি এবং একটি খণ্ড।
পবিত্র কোরআনটি কুফিক শৈলীতে হাতে লেখা ছিল, যা হজরত আলী(আ:) নিজেই লিখেছিলেন বলে মনে করা হয়।
হজরত আলী(আ:) এর জীবন ও গুণাবলী বর্ণনা করে বিভিন্ন ভাষায় বই ও পাণ্ডুলিপি সাজাতে ব্যবহৃত চামড়ার আবরণও প্রদর্শনীর অংশ ছিল।
মাওলানা আজাদ লাইব্রেরির গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক নিশাত ফাতিমা জানান, হজরত আলী যিনি মাওলানা আলী নামেও পরিচিত, তাঁর জন্মদিনে প্রতি বছরের মতো এবারও মাওলানা আজাদ লাইব্রেরিতে হজরত আলী সম্পর্কিত বিশেষ বই, চিঠিপত্র ও কুরআন মজিদের একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও জানান, মাওলানা আজাদ লাইব্রেরিতে হজরত আলী সম্পর্কিত প্রায় দুই শতাধিক বই রয়েছে যা আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি ইত্যাদি বিভিন্ন ভাষায় লেখা।
হজরত আলী(আ:) এর জন্মদিন উপলক্ষে বই প্রদর্শনীতে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন এবং তাঁর সম্পর্কে রচিত বই এবং বিশেষ করে তাঁর বরকতময় হাতে লেখা পবিত্র কুরআন দেখে আনন্দ প্রকাশ করেন।
মাওলানা আজাদ লাইব্রেরি মিউজিয়ামের ইনচার্জ সৈয়দ মহসিন জাফরি জানান, প্রতি বছর হযরত আলী(আ:) এর জন্মদিন উপলক্ষে মাওলানা আজাদ লাইব্রেরিতে হজরত আলী সম্পর্কিত বিশেষ বই, তাঁর আশীর্বাদপুষ্ট হাতের চিঠিপত্র ও কুরআন প্রদর্শন করা হয়।
হজরত আলী(আ:) এর জন্মদিন উপলক্ষে মাওলানা আজাদ লাইব্রেরিতে একটি বিশেষ জাদুঘরও খোলা হয়েছে, যেখানে হযরত আলী এবং পবিত্র কোরআন সম্পর্কিত বিশেষ বই রয়েছে, যা আজ আমাদের দেখার সুযোগ হয়েছে।
এএমইউতে অধ্যয়নরত স্নাতক ছাত্র মুহম্মদ জুনায়েদ বলেন, আমি প্রথমবার আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা আজাদ লাইব্রেরিতে হজরত আলী(আ:) এর ওপর লেখা বইয়ের প্রদর্শনীতে এসেছি।
আমি হজরত আলী(আ:) এর সাথে সম্পর্কিত বই দেখেছি যেখানে প্রচুর বই রয়েছে এবং হজরত আলী(আ:) এর বরকতময় হাতে লেখা পবিত্র কুরআন দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি।